বর্তমান সমাজ ক্রমশঃ এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ অপসংস্কৃতি জেঁকে বসেছে।
ন্যায়-নীতি এখানে বিলুপ্ত প্রায়। যুলুম-অত্যাচার, গুম, হত্যা, লুণ্ঠন প্রভৃতি পাপাচারের বিষবাষ্পে জাতি আজ দিশেহারা।
এক্ষণে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কোপানল থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হ’লে দাওয়াতের ব্যাপক প্রসারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরবের সামাজিক জীবন যেমন অনাচার, পাপাচার, দুর্নীতি, কুসংস্কার, অরাজকতা, ঘৃণ্য আচার-অনুষ্ঠান এবং নিন্দনীয় কার্যকলাপে পরিপূর্ণ ছিল,
তেমনি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাও আমাদেরকে আইয়ামে জাহেলিয়াতের সেই বর্বর সমাজচিত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই জাহেলিয়াতের মূলোৎপাটনের জন্যই আল্লাহ তা‘আলা মানবতার মুক্তির দূত হিসাবে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে প্রেরণ করেন।
তিনি এসে মানব সমাজকে আল্লাহর নির্দেশিত পথের দিকে আহবান করেন এবং জাহেলিয়াতের ঘোর অমানিশা থেকে মানুষকে রক্ষা করেন।
আমাদের সমাজও আজ জাহেলী যুগের ন্যায় অন্ধকারের অতল গহবরে নিমজ্জিত। মানব রচিত কোন তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে তমসাচ্ছন্ন এই সমাজকে রক্ষা করা আদৌ সম্ভব নয়।
একমাত্র বিশ্ব সংস্কারক মুহাম্মাদ (ছাঃ) প্রদর্শিত পন্থায় দাওয়াত দানের মাধ্যমেই এই সমাজের উত্তরণের পথ উন্মোচিত হ’তে পারে।
তাই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নির্দেশিত পদ্ধতিতে মানবতাকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আহবান করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
‘আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত জানা থাকলেও তোমরা তা পৌঁছিয়ে দাও’।
দাওয়াত ও দাঈদের কিছু নিয়মকানুন আছে আর এই নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত হতে চোখ রাখুন সালাফী বুকস এর দাওয়াত ও দাঈদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই সিরিজে(ক্যাটাগরি)
দাওয়াত ও দাঈদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই - এর অন্যান্য বইসমূহ